বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৬ কোটি জনসংখ্যার বাস বাংলাদেশে। বাংলাদেশ এশিয়ার দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এবং বার্মা,ভারত ও নেপালের সীমান্তে অবস্থিত। বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা এবং এটির ভাষা বাংলা। বাংলাদেশ অর্থনীতি একটি উন্নয়নশীল ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে এবং দেশটির অর্থনীতি বর্তমানে বিশ্বের ১১ টি উদীয়মান অর্থনীতির মধ্যে একটি হিসাবে গণ্য করা হয়। মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশব্ব্যপী কৃতিত্বের সাথে ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংকের উদ্দ্যোক্তা হিসাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়।
কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশে ধান, পাট, গম, কলা, আম, আলু, গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল, পেঁয়াজ, চা, আনারস ইত্যাদি ভাল জন্মে থাকে। একারনে বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে সর্বাধিক কৃষি পণ্য রপ্তানিকারক হিসাবে গণ্য করা হয়।
বাংলাদেশ সরকার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। যদি আপনি উদ্যোক্তা হিসাবে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে এখানে বিনিয়োগ করার মত একটি সুন্দর, নিরাপদ পরিবেশ পাবেন কারণ বাংলাদেশে একটি স্পন্দনশীল সামাজিক উদ্যোগ ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে যা বিশ্বের সবচেয়ে দক্ষ উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়।
১) খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাত
বাংলাদেশে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাত প্রকৃতপক্ষে একটি সমৃদ্ধ শিল্প যা সস্তা কাঁচামাল এবং সস্তা শ্রম এর মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করে রপ্তানি করা হয়। যদি আপনি মনে করেন, আপনি একজন সক্ষম বিনিয়োগকারী এবং একটি লাভজনক কোম্পানির প্রতিষ্ঠা করার জন্য জায়গা খুঁজছেন, তাহলে বাংলাদেশ হতে পারে আপনার সেই কাঙ্ক্ষিত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কোম্পানি উপযুক্ত জায়গা।
২) রাইস ফিনিশিং
আপনি যদি একজন বিনিয়োগকারী হিসাবে চাষের চাল ফিনিশিং দেয়ার ব্যবসায়ের কথা ভাবেন, তাহলে বাংলাদেশকে বিবেচনায় আনতে পারেন। বিশ্বব্যাপী চালের বৃহত্তম উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে বাংলাদেশ সুপরিচিত এবং প্রতিষ্ঠিত। নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশের বাজার এখনও অনেক বেশি লাভজনক ও উতসাহব্যঞ্জক বলে বিবেচিত হতে পারে।
৩) টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারিং
বিশ্বে বাংলাদেশ পোশাক শিল্প ও বস্ত্র উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রথমসারির তাতে কোন সন্দেহ নেই। এই দেশ সস্তা এবং সুলভ শ্রম ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। উন্নতমানের কিছু বৃহৎ টেক্সটাইল উৎপাদন কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস কারখানা স্থাপন করেছে কারণ এখানে অন্যান্য দেশের চেয়ে তুলনামুলক খরচ কম হয়। সুতরাং, আপনি যদি বিনিয়োগকারী হিসাবে বাংলাদেশে টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারিং সেক্টরে ব্যবসা করার চিন্তা করে থাকেন, তাহলে আপনার বিনিয়োগে লাভজনক ফলাফল আশা করতে পারেন।
৪) একটি মাইক্রো - ফাইন্যান্স ব্যাংক খুলুন
বাংলাদেশে মাইক্রো ফাইন্যান্সিং এর জন্ম এবং আপনি যদি এখানে আপনার নিজের মাইক্রো-ফাইন্যান্স ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার কথা ভাবেন, তবে মুনাফা অর্জন করার জন্য একটি ভাল পরিবেশ পেয়ে যাবেন। গ্রামীন বাংকের মাইক্রো-ফাইন্যান্স আইডিয়া এবং এর উপকারিতা বাংলাদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশে আপনার নিজস্ব মাইক্রো ফাইন্যান্স ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে, প্রথমেই আপনাকে লাইসেন্সিং ইস্যু ঠিক করে নিতে হবে। এখানে মাইক্রো ফাইন্যান্স ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে সফল হবার জন্য, আপনার শক্ত একটি ফিন্যলসিয়াল ভিত থাকতে হবে।
৫) ফল ও ফলজ উদ্ভিদ রপ্তানিকারক
বাংলাদেশ গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফসলের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারকদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ কলা, আম, গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল, এবং আনারস চাষের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত একটি স্থান। এখানে বিনিয়োগ করলে আপনাকে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করতে হবে না বরং আন্তর্জাতিক বাজারেও সরবরাহ করতে পারবেন।
আর্টিকেল এর পরবর্তী পর্বের নোটিফিকেশন পেতে আমাদের নিউজলেটারে সাবস্ক্রাইব করুন।
Startup
Virtual Assistants 365
Inspiration
উদ্যোক্তা ও ব্র্যান্ডিং
Startup
Virtual Assistants 365